এলার্জি হওয়ার কারণ ও এর ঘরোয়া চিকিৎসা

যদি কারো বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের এলার্জি থাকে, তাহলে তারও এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।


এলার্জির প্রকৃতি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে, এবং একবার এলার্জি শুরু হলে সেই এলার্জেন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা বা চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

সূচিপত্রঃ এলার্জি হওয়ার কারণ ও এর ঘরোয়া চিকিৎসা

  1. এলার্জি কী? 
  2. এলার্জি কেন হয়?/ এলার্জি হওয়ার কারণ
  3. এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া চিকিৎসা
  4. এলার্জি প্রতিরোধে ডাক্তারি চিকিৎসা
  5. এলার্জি শারীলের কোন কোন স্থানে হতে পারে ?

এলার্জি কী?

এলার্জি হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমের এক ধরনের অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন কোনো বস্তু বা পদার্থের সংস্পর্শে আসলে ঘটে। এই প্রতিক্রিয়াটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে, যাকে অ্যালার্জেন বলা হয়। এলার্জেন হতে পারে ধুলাবালি, পরাগ রেণু, পোষা প্রাণীর লোম, খাবার, ওষুধ, রাসায়নিক বা কীটপতঙ্গের বিষ।

এলার্জির লক্ষণগুলো হতে পারে:

  • চুলকানি, র‍্যাশ বা ত্বকের সমস্যা
  • হাঁচি, কাশি বা নাক দিয়ে পানি পড়া
  • শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি
  • চোখে পানি, চুলকানি বা লালচে হওয়া
  • গলায় বা জিভে ফুলে যাওয়া (গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যানাফাইল্যাক্সিস হতে পারে)

এলার্জি হলে এড়িয়ে চলা বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।

এলার্জি কেন হয়?/ এলার্জি হওয়ার কারণ

এলার্জি তখনই হয় যখন শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) কোনো নির্দিষ্ট পদার্থকে ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে চিনে নেয় এবং তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়। সাধারণত যেসব পদার্থ স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিকর নয়, যেমন ধুলাবালি, খাবার, বা ফুলের রেণু, সেগুলোও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

এলার্জির কারণগুলো:

  1. জেনেটিক প্রবণতা: অনেক সময় এলার্জির প্রবণতা বংশগত হতে পারে। যদি কারো বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের এলার্জি থাকে, তাহলে তারও এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

  2. পরিবেশগত কারণ: ধুলাবালি, ফুলের রেণু, পোষা প্রাণীর লোম, মোল্ড বা ছত্রাক, ধোঁয়া, রাসায়নিক পদার্থ, এবং অন্যান্য পরিবেশগত অ্যালার্জেন শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

  3. খাবারের এলার্জি: কিছু মানুষ নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক হতে পারেন, যেমন দুধ, ডিম, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, গম ইত্যাদি।

  4. ওষুধ: কিছু ওষুধ যেমন পেনিসিলিন বা অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে।

  5. ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা: শরীরের ইমিউন সিস্টেম কোনো নির্দিষ্ট উপাদানকে ক্ষতিকর হিসেবে ভুল শনাক্ত করলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

এলার্জির প্রকৃতি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে, এবং একবার এলার্জি শুরু হলে সেই এলার্জেন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা বা চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

এলার্জি প্রতিরোধে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা বা প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা এলার্জির উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, যদি অ্যালার্জি গুরুতর হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া উপায়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা হলো:

১. মধু সেবন

  • স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মধু এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে ফুলের রেণুর অ্যালার্জির ক্ষেত্রে। এতে শরীরের অ্যালার্জেনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা বাড়ে।

২. আদা

  • আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন হিসেবে কাজ করে। এটি এলার্জি থেকে হওয়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি, এবং গলার সমস্যা কমাতে সহায়ক। আদা চা পান করা উপকারী হতে পারে।

৩. লেবুর পানি

  • লেবুর রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং এটি শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা এলার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

৪. হলুদ

  • হলুদে উপস্থিত কুরকুমিন অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা এলার্জির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। খাবারে হলুদ ব্যবহার করা বা হলুদের পানীয় গ্রহণ করা উপকারী।

৫. রসুন

  • রসুন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং এলার্জি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৬. নুন-পানির গার্গল (লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি)

  • গলা এবং নাক পরিষ্কার রাখতে নুন মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গার্গল বা কুলকুচি করা যায়। এটি এলার্জির কারণে হওয়া গলা চুলকানি ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৭. বাষ্প নেওয়া (Steam Therapy)

  • নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা সাইনাসের সমস্যা হলে, বাষ্প নেওয়া উপকারী হতে পারে। গরম পানির বাষ্পে ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নেওয়া শ্বাসকষ্ট কমায় এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার করে।

৮. অ্যালোভেরা জেল

  • অ্যালোভেরা ত্বকের এলার্জিজনিত প্রদাহ বা চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ত্বকের সমস্যায় অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্যবহার করা যায়।

৯. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

  • অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ইমিউন সিস্টেমকে সঠিক রাখতে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক। এটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে একবার করে পান করা যেতে পারে।

১০. বসার জায়গা ও বিছানা পরিষ্কার রাখা

  • ধুলাবালি ও ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে এবং নিয়মিত বিছানা, বালিশ ও অন্যান্য আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে হবে। এলার্জেন থেকে দূরে থাকার জন্য ঘর থেকে ধুলো, পোষা প্রাণীর লোম, এবং ফাংগাস পরিষ্কার করা জরুরি।

এগুলো নিয়মিত মেনে চললে এলার্জির তীব্রতা কমতে পারে। তাছাড়া এলার্জেন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সর্বোত্তম প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

এলার্জি প্রতিরোধে ডাক্তারি চিকিৎসা

এলার্জি প্রতিরোধ ও উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে ডাক্তারি চিকিৎসা বেশ কার্যকর। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ ও থেরাপি গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিচে এলার্জি প্রতিরোধে সাধারণত ব্যবহৃত ডাক্তারি চিকিৎসার পদ্ধতিগুলো দেওয়া হলো:

১. অ্যান্টিহিস্টামিন (Antihistamines)

  • অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধগুলি শরীরের হিস্টামিন নামক রাসায়নিককে ব্লক করে, যা এলার্জির কারণে শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই ওষুধগুলি এলার্জির সাধারণ উপসর্গ, যেমন চুলকানি, হাঁচি, সর্দি, চোখে পানি পড়া ইত্যাদি কমাতে সহায়ক।
  • উদাহরণ: সিট্রিজিন, লোরাটাডিন, ডেসলোরাটাডিন, ফেক্সোফেনাডিন

২. নাকের স্প্রে (Nasal Sprays)

  • নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি, এবং সর্দি কমাতে নাকের স্টেরয়েড স্প্রে ব্যবহৃত হয়। এটি নাকের শ্বাসনালী পরিষ্কার করে এবং প্রদাহ কমায়।
  • উদাহরণ: ফ্লুটিকাসোন (Fluticasone), মোমেটাসোন (Mometasone)

৩. ডিকনজেস্ট্যান্ট (Decongestants)

  • ডিকনজেস্ট্যান্ট ওষুধ নাকের সাইনাসের রাস্তা পরিষ্কার করতে এবং নাক বন্ধ হওয়া কমাতে সাহায্য করে। তবে এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য নয়।
  • উদাহরণ: সুডোএফিড্রিন (Pseudoephedrine), অক্সিমেটাজোলিন (Oxymetazoline)

৪. ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy)

  • ইমিউনোথেরাপি হলো দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা, যা রোগীর শরীরকে ধীরে ধীরে অ্যালার্জেনের সঙ্গে সহনশীল করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যালার্জি শট (Allergy Shots) বা সাবলিঙ্গুয়াল ট্যাবলেট (SLIT) ব্যবহার করা হয়। এতে অ্যালার্জেনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া কমে যায়।
  • এটি বিশেষ করে ধুলাবালি, পরাগ রেণু বা পোষা প্রাণীর লোমের মতো অ্যালার্জেনের ক্ষেত্রে কার্যকর।

৫. অ্যালার্জি শট (Allergy Shots)

  • অ্যালার্জি শট বা ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসায় রোগীর শরীরে নিয়মিতভাবে অ্যালার্জেনের অল্প পরিমাণ ইনজেকশন দেওয়া হয়, যাতে শরীর ধীরে ধীরে সেই অ্যালার্জেনের প্রতি সহনশীল হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হতে পারে।

৬. স্টেরয়েড ওষুধ (Steroids)

  • স্টেরয়েড ওষুধ শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এটি মূলত গ্রীষ্মকালীন বা দীর্ঘমেয়াদী এলার্জির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত নাকের স্প্রে বা ইনহেলার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে কখনও কখনও ট্যাবলেট বা ইনজেকশনের মাধ্যমেও দেওয়া হয়।
  • উদাহরণ: প্রেডনিসোলোন (Prednisolone), বিউডিসোনাইড (Budesonide)

৭. মাস্ত সেল স্ট্যাবিলাইজার (Mast Cell Stabilizers)

  • এই ওষুধগুলি মাস্ত সেল থেকে হিস্টামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মুক্তি প্রতিরোধ করে। এগুলো সাধারণত নাকের স্প্রে বা চোখের ড্রপ আকারে ব্যবহৃত হয়।
  • উদাহরণ: ক্রোমোলিন সোডিয়াম (Cromolyn sodium)

৮. অ্যালার্জি ইপিপেন (EpiPen)

  • গুরুতর এলার্জি প্রতিক্রিয়ায় (যেমন অ্যানাফাইল্যাক্সিস), ইপিনেফ্রিন ইনজেকশন বা ইপিপেন ব্যবহার করা হয়। এটি জীবন রক্ষাকারী ইনজেকশন, যা দ্রুত শরীরের শ্বাসকষ্ট এবং শক প্রতিরোধ করে।

৯. ওমালিজুম্যাব (Omalizumab)

  • এটি একটি বায়োলজিক ওষুধ, যা শরীরে IgE নামক অ্যান্টিবডির প্রভাব কমায়। এটি মূলত দীর্ঘস্থায়ী এলার্জি ও হাঁপানির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

১০. প্রো-বায়োটিকস (Probiotics)

  • কিছু গবেষণা অনুযায়ী, প্রো-বায়োটিক্স ইমিউন সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং এলার্জির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনীয় পরামর্শ:

  • অ্যালার্জি প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ওষুধ বেছে নিতে হবে।
  • দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা বা বিশেষ থেরাপি শুরু করার আগে পরীক্ষা এবং সঠিক অ্যালার্জেন চিহ্নিত করা জরুরি।
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই সেগুলোর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

এগুলো রোগীর প্রয়োজন এবং এলার্জির ধরনের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক ঠিক করেন।

এলার্জি শারীলের কোন কোন স্থানে হতে পারে ?

এলার্জি শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে এবং এর লক্ষণ ও উপসর্গও নির্ভর করে এলার্জেনের ধরন ও শরীরের কোন অংশে প্রতিক্রিয়া ঘটছে তার ওপর। এলার্জি সাধারণত শরীরের নিম্নলিখিত স্থানে হতে পারে:

১. ত্বক (Skin)

  • লক্ষণ: চুলকানি, লালচে দাগ, র‍্যাশ, ফুসকুড়ি, শুষ্কতা, ত্বকের ফোলা।
  • কারণ: খাদ্য, রাসায়নিক পদার্থ, সাবান, প্রসাধনী, নির্দিষ্ট ধাতব জিনিস, পোশাকের রং, গাছের নির্যাস, বা কীটপতঙ্গের কামড়।

২. নাক (Nose)

  • লক্ষণ: হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চুলকানি।
  • কারণ: পরাগ রেণু, ধুলাবালি, ছত্রাক, পোষা প্রাণীর লোম, ধোঁয়া।

৩. চোখ (Eyes)

  • লক্ষণ: চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, পানি পড়া, ফোলা।
  • কারণ: ফুলের রেণু, ধুলাবালি, প্রসাধনী, পোষা প্রাণীর লোম।

৪. মুখ এবং ঠোঁট (Mouth and Lips)

  • লক্ষণ: ঠোঁট ফুলে যাওয়া, মুখে চুলকানি বা ফুসকুড়ি, গলায় অস্বস্তি।
  • কারণ: নির্দিষ্ট খাবার (যেমন বাদাম, শেলফিশ, দুধ, ডিম), ওষুধ।

৫. গলা (Throat)

  • লক্ষণ: গলা চুলকানো, শুষ্কতা, গলায় ফোলা বা শ্বাসকষ্ট।
  • কারণ: খাবার, ধোঁয়া, পরাগ রেণু, ওষুধ।

৬. শ্বাসনালী এবং ফুসফুস (Respiratory Tract and Lungs)

  • লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে চাপ বা শ্বাসনালীর সংকোচন।
  • কারণ: ধুলা, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, ছত্রাক, পোষা প্রাণীর লোম, কীটনাশক।

৭. কানে (Ears)

  • লক্ষণ: কানে চুলকানি, চাপ অনুভব করা, শোনার ক্ষমতা কমে যাওয়া।
  • কারণ: পরাগ রেণু, ধুলাবালি, খাবার, পোষা প্রাণীর লোম।

৮. পেটে এবং অন্ত্র (Stomach and Intestines)

  • লক্ষণ: পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, বদহজম।
  • কারণ: খাদ্য এলার্জি (যেমন দুধ, গম, সয়াবিন, বাদাম), ওষুধ।

৯. গলা এবং জিভে (Throat and Tongue)

  • লক্ষণ: গলা বা জিভ ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, অ্যানাফাইল্যাক্সিস (গুরুতর ক্ষেত্রে)।
  • কারণ: খাবার, ওষুধ, কীটপতঙ্গের কামড় বা হুল ফোটানো।

১০. মুখের ভেতরে (Oral Allergy)

  • লক্ষণ: মুখের ভেতরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া, ঠোঁট ফুলে যাওয়া।
  • কারণ: কিছু খাবার যেমন আপেল, গাজর, সেলারি, বাদাম ইত্যাদি।

এলার্জির প্রভাব শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভিন্নভাবে দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক স্থানেও এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে গুরুতর অ্যালার্জির (যেমন অ্যানাফাইল্যাক্সিস) ক্ষেত্রে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url